turkey visar dam koto

তুরস্ক ভিসার দাম কত ২০২৪

তুরস্ক ভ্রমণে ইচ্ছুক অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন জাগে: তুরস্ক ভিসার দাম কত ২০২৪ সালে? ভ্রমণ পরিকল্পনার প্রথম ধাপই হলো ভিসা প্রসেসিং এবং এর খরচ সম্পর্কে জানা।

তুরস্কের ভিসার খরচ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। ভিসার ধরন, মেয়াদ এবং আবেদনকারীর জাতীয়তা এর মধ্যে অন্যতম। ২০২৪ সালে এই খরচ কেমন হতে পারে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে। আপনার যদি তুরস্কে ভ্রমণের ইচ্ছা থাকে, তবে এই তথ্যগুলো জেনে রাখা জরুরি। চলুন, বিস্তারিত জানি তুরস্ক ভিসার দাম সম্পর্কে।

তুরস্ক ভিসার দাম কত ২০২৪

ভিসার ধরন ব্যয় (টাকা)
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৮,০০,০০০ – ১০,০০,০০০
টুরিস্ট ভিসা ২,৫০,০০০ – ৩,৫০,০০০
স্টুডেন্ট ভিসা ১২,০০,০০০ – ১৫,০০,০০০
কাজের ধরন মাসিক বেতন (টাকা)
উচ্চ দক্ষতার কাজ ২,৫০,০০০ – ৪,০০,০০০
নিম্নমানের কাজ ৩৫,০০০ – ৭৫,০০০
তুরস্কের সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০

আরো পড়ুন: আজকে দুবাই সোনার দাম কত

তুরস্কে যাওয়ার প্রস্তুতি: বিবিধ তথ্য ও ব্যয়

তুরস্কে যাওয়া নিয়ে আগ্রহী হলে আপনাকে জানা উচিত যে এই যাত্রা শুরু করতে কী কী ভিসা প্রয়োজন। সরাসরি গুগলে খুঁজে তুরস্কের ভিসার মূল্য ও যাত্রা ব্যয়ের তথ্য সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। তাই, এ আর্টিকেলে তুরস্কে যাওয়া, সেখানে ভিসার জন্য ব্যয়, কাজের বেতন এবং সর্বনিম্ন বেতনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে।

তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের ভিসার বিবরণ

তুরস্কে যাওয়ার জন্য মূলত তিন ধরনের ভিসা প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো কাজের পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা। প্রতিটি ভিসার মূল্য ও শর্ত ভিন্ন এবং আপনার ব্যবহারের উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে আপনাকে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তুরস্কের ভিসার দাম নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভিসার ধরন। তাই, এবার আমরা বিভিন্ন ভিসার তথ্য ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যয়ের পরিসংখ্যান দেখবো:

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ

তুরস্কে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ ভিসা হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ভিসার জন্য অন্যান্য ভিসার তুলনায় খরচ বেশি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যাওয়ার জন্য প্রায় ৮,০০,০০০ থেকে ১০,০০,০০০ টাকা খরচ হয়। এটি কাজের ধরন ও অবস্থার উপরও নির্ভর করে। তাই, যারা তুরস্কে কাজ করতে চান তাদের আগে পরিস্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টুরিস্ট ভিসার ব্যয়

তুরস্কের টুরিস্ট ভিসা প্রায় দু’মাস মেয়াদী হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে টুরিস্ট ভিসায় যেতে প্রায় ২,৫০,০০০ থেকে ৩,৫০,০০০ টাকা খরচ হয়। ভিসার মেয়াদ চলাকালীন সময় তুরস্কে বৈধতা বজায় রাখার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে চলতে হবে। কাজের খোঁজ না পেলে, মেয়াদ শেষে দেশে ফিরতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসার ব্যয়ের প্রতিবেদন

তুরস্কে শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে প্রায় ১২,০০,০০০ থেকে ১৫,০০,০০০ টাকা খরচ হবে। এই খরচের মধ্যে থাকা, খাওয়া এবং পড়ালেখার সম্পূর্ণ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।

তুরস্ক যাওয়ার মোট খরচ

উপরোক্ত সকল তথ্য থেকে বোঝা যায়, তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভিসার মূল্য ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া, ফ্লাইটের খরচ এবং অন্যান্য কিছু আনুষঙ্গিক খরচও বিবেচনা করতে হবে।

তুরস্কের চাকুরির বেতন স্কেল

তুরস্কে কাজের বেতন কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হয়। উচ্চ দক্ষতার কাজ যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি, ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাসিক বেতন ২,৫০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ টাকা হতে পারে। অন্যদিকে, নিম্নমানের কাজ যেমন সিকিউরিটি গার্ড, বিভিন্ন মিস্ত্রি কাজ, কৃষি কাজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাসিক বেতন প্রায় ৩৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা হয়।

তুরস্কের সর্বনিম্ন বেতন

অনেকেই জানতে চান তুরস্কের ন্যূনতম মজুরি কত। বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকদের জন্য থাকা সর্বনিম্ন বেতন সাধারণত ৩৫,০০০ টাকার আশেপাশে থাকে। অবশ্যই, কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই বেতন পরিবর্তিত হতে পারে।

শেষ কথন

আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, তুরস্কে যাওয়া এবং সেখানে থাকা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। আমাদের দেয়া তথ্য দিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তথ্যটি ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। এছাড়া কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে নিচে কমেন্ট বাক্সে জানাবেন।

Scroll to Top