দুবাই ভিসা পেতে চাইছেন? ২০২৪ সালে দুবাই ভিসার দাম নিয়ে কৌতূহলী? আপনার এই কৌতূহল মেটানোর জন্য আমরা নিয়ে এসেছি বিস্তারিত তথ্য।
দুবাই ভিসার বিভিন্ন ধরন এবং তাদের খরচ নিয়ে আলোচনা করব। পর্যটন, ব্যবসা বা কাজ, যেকোনো কারণেই হোক, ভিসার খরচ সম্পর্কে জানা জরুরি। এই ব্লগে আপনি পাবেন আপডেটেড তথ্য। তো চলুন, শুরু করা যাক।
দুবাই ভিসা দাম কত ২০২৪
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
দুবাই ভিসা করতে খরচ | ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা |
যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ | ৩.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা |
গড়পড়তা ভিজিট ভিসার খরচ | ১৪,৫০০ টাকা থেকে ৩৫-৪০ হাজার টাকা |
ভিজিট ভিসার মোট খরচ | ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা |
কাজের ভিসার মোট খরচ | ৫ থেকে ৯-১০ লক্ষ টাকা |
ভিজিট ভিসা এয়ারলাইন্স খরচ | ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা |
কাজের ভিসা দালালের মাধ্যমে খরচ | ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা |
কাজের ভিসা সরকারি সিস্টেম খরচ | ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
হোটেল ভিসার খরচ | ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
ফ্রি ভিসা | কোনো উপায় নেই |
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট | ভিসা আবেদন ফরম, ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ৬ মাস মেয়াদসহ পাসপোর্ট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ব্যাংক স্টেটমেন্ট |
চাহিদাসম্পন্ন কাজের ধরন | গৃহকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী, বিশেষ নার্স, ড্রাইভার, মেকানিক্যাল, ক্লিনার, ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক |
মাসিক রোজগার | ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা |
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই: স্বপ্নের নগরী
দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর, তার বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা এবং উন্নত ব্যবসায়িক সুযোগের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই আধুনিক শহরে জীবনযাত্রার মান এবং আয় করার অভিনব সুযোগের কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশী এখানে পাড়ি জমাচ্ছেন। ভ্রমণ এবং জীবিকার উদ্দেশ্যে দুবাই যাওয়ার আগে, আপনার জন্য আজকের আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ভিসার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয় ব্যয়
প্রত্যেক দেশেই প্রবেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হলো ভিসা। ভিসা ছাড়া আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারবেন না। ভিসা প্রসেসিং জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়, যা বাংলাদেশীদের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। তবে যারা এই খরচ মিটিয়ে দুবাই যেতে চান, তাঁদের জন্য ভিসার খরচ কতো হতে পারে তা জানা জরুরি।
দুবাই ভিসার খরচ বিস্তারিত
দুবাইতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে বর্তমানে ৯% লোক এবং এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। দুবাই ভিসা করতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তবে, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট ব্যয় হতে পারে ৩.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। গড়পড়তা ভিজিট ভিসার খরচ হতে পারে ১৪,৫০০ টাকা থেকে ৩৫-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
দুবাই ভ্রমণের মোট ব্যয়
দুবাইতে যেতে কত টাকা লাগবে, তা নির্ভর করছে ভিসার ধরন এবং অন্যান্য খরচের উপর। যেমন, ভিজিট ভিসার জন্য ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। কাজের ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ৫ থেকে ৯-১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
দুবাই ভ্রমণের সহজ এয়ারলাইন্স
দুবাই যেতে নানান এয়ারলাইন্স সরবরাহ করে যাত্রা প্রশস্ত করছে, যেমন ইতিহাদ এয়ারলাইন্স, ফ্লাই দুবাই, আমিরাত এয়ারলাইন্স এবং এয়ার এরাবিয়া। এছাড়া, এয়ারলাইন্স ভেদে ভিসার দামেও পরিবর্তন হয়। ভিজিট ভিসা-তে সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
কাজের ভিসার খরচ এবং সুবিধা
যারা কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চান, তাদের জন্য কিছু ভিসা দালাল দ্বিগুণ টাকা চেয়ে থাকেন। তবে কাজের ভিসা প্রসেসিং শেষ করে দুবাই পৌছাতে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। সরকারি সিস্টেমে ভিজা করেন তাহলে ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
হোটেল ভিসায় সুবিধা ও খরচ
হোটেল ভিসায় দুবাইতে চাকরি করার জন্য বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেক চাহিদা রয়েছে। এই ভিসা ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যেই এই খরচ উঠিয়ে ফোন ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রি ভিসার ধারণা দুরূহ
বাংলাদেশ থেকে দুবাই-মুখী ফ্রি ভিসা-এর কোনো উপায় নেই। দুবাই সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ফ্রি ভিসা কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়নি। সরকারি প্রক্রিয়াও দ্বন্দ্বমুখর হতে পারে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
দুবাই ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কতগুলো সম্পর্কিত ডকুমেন্ট প্রদর্শন করতে হবে। যেমন- ভিসা আবেদন ফরম, ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ৬ মাস মেয়াদসহ পাসপোর্ট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
চাহিদাসম্পন্ন কাজের ধরন
দুবাইতে প্রবেশকারী বাংলাদেশীদের মধ্যে কাজের ভিসা সবচেয়ে বেশি করা হয়। গৃহকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী, বিশেষ নার্স, ড্রাইভার, মেকানিক্যাল, ক্লিনার, ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক এবং আরও বিবিধ কাজে প্রার্থীর প্রয়োজন।
ভিসার অধীনে বেতন ব্যবস্থা
দুবাই অবস্থানকালে মাসিক রোজগার নির্ভর করে যে ভিসায় গেছেন এবং দালালের মাধ্যমে কত টাকা দিয়েছেন সেই ভিত্তিতে। প্রত্যাশামত মাসে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় সম্ভব।
শেষ কথা
আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য জানাতে চেষ্টা করেছি যাতে দুবাই ভিসা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পান। এই সকল বিষয় নির্ভর কোরে আপনার বেটির টিকিট এবং ভিসার প্রকার ভেদে। পরিচিত দালালের সঙ্গে ভিসা আবেদন করুন এবং দুবাই পৌছে যান। আপনার আশেপাশে এই তথ্য শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!